চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিয়ে দুই থানার ভিন্ন দাবি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর এলাকা থেকে মোহাম্মদ সাইফুল আলম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টায় তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ।

সাইফুল (৪৫) বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মৃত আহমদ কবিরের ছেলে। কর্ণফুলী থানা জানায়, তাকে ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পরে পদক্ষেপে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তবে পরদিন চান্দগাঁও থানা দাবি করে, ১১ মে সকালে রাহাত্তারপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুলকে তারা নিজেরাই গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটি ২০২৫ সালের ১৩ মার্চ দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত, যেখানে বিস্ফোরক দ্রব্য ও হত্যাচেষ্টার ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

স্থানীয়রা দুই থানার এই সাংঘর্ষিক বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি, কর্ণফুলী থানা থেকেই সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট মোড়ে ছাত্র জনতার এক শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর অস্ত্রধারী রাজনৈতিক ক্যাডাররা হামলা চালায়। এতে ইয়াস শরীফ খান (১৬) গুলিবিদ্ধ হন এবং বহু আন্দোলনকারী আহত হন।

চান্দগাঁও থানার এসআই মো. ফয়সাল আদালতকে জানান, সাইফুল আলম এ হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য মিলেছে।

এদিকে একটি সূত্র দাবি করেছে, সাইফুল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং ২০০৪ সালের বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাজী আব্দুস সোবহানের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। তবে এই সম্পর্কের কোনও আইনগত প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে তার ঘনিষ্ঠদের দাবি, সাইফুল একজন ব্যবসায়ী, ঢাকায় রড-সিমেন্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে আনোয়ারায় বসবাস করছেন। তাদের মতে, তিনি কোনো অপরাধে জড়িত নন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে চান্দগাঁও থানায় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মামলার ধারা পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়েছেন।

চান্দগাঁও থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘সাইফুল আলমকে বিস্ফোরণ ও মারামারির মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। ৬ মাসের আগে তার জামিন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm