চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গতবছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবারে পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গতবছর যা ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। গতবছর যেটি ছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী ফলাফল বিষয়ে ত্যৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ গতবছরের তুলনায় এ বছর অনেক কম।’ সেটির কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ছিল খাতার মূল্যায়ন যেন মেধার ভিত্তিতে হয়। শিক্ষার্থী খাতায় লিখে যে নম্বরটি পাবে, সেটাই যেন মারকিং করা হয়। অতি মূল্যায়নের সুযোগ ছিল না। আমি পরীক্ষার পর সব প্রধান নিরীক্ষকদের ডেকে এটাই বুঝিয়েছিলাম; রুব্রিক্স পদ্ধতিতে যেন খাতা কাটা হয়।’
তাছাড়াও জুলাই আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটেছিল। আর চট্টগ্রাম বিভাগে পাসের হার কম হওয়ার আরেকটা বড় কারণ তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার বেশি কম হওয়ার। যা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৮৮৮ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছাত্র পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ছাত্রী পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার কম। এরমধ্যে রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে পাসের হার শূন্য এমন করেজের সংখ্যা ৫টি। শতকরা শতভাগ পাসের কলেজের সংখ্যা ৮টি।
আইএমই/এমএহক