চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোডে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কিলিং মিশনে’ অংশগ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারী দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার কাঞ্চননগর এলাকা ও চান্দগাঁও থানার খাজা রোড বাদামতল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় কিলিং মিশনে ব্যবহৃত পোশাকও উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন—চান্দগাঁও থানার খাজা রোড বাদামতল এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকের ছেলে মো. বেলাল (২৭), যার স্থায়ী ঠিকানা বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইসলামপুর। তিনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। অপরজন হলেন মো. মানিক (২৪), যিনি মোটরসাইকেল সরবরাহ ও হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। তিনি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ রাত ২টার দিকে বাকলিয়া থানার রাজাখালী ব্রিজ এলাকায় চট্টমেট্রো-গ-১২-৯০৬৮ নম্বরের প্রাইভেটকারে থাকা সরোয়ার হোসেন বাবলা, আব্দুল্লাহ আল রিফাত, মো. বখতিয়ার হোসেন ও অন্যরা হামলার শিকার হন।
৬-৭টি মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এক্সেস রোডের শেষ মাথায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড সংলগ্ন ঢাকাইয়া খানা রেস্টুরেন্টের সামনে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
এতে বখতিয়ার হোসেন (২৮) ও আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত রবিউল হোসেন হৃদয় ও রবিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাকলিয়া থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বুধবার রাতে টানা অভিযানে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জোড়া খুনের পেছনে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব কাজ করেছে।
জেজে/ডিজে