‘স্মৃতিতে খুঁজি, স্মৃতিতে বাঁচি, প্রিয় অঙ্গনে চলো প্রীতিবন্ধন গড়ি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় কলাউজান ডা. এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের আয়োজনে দিনব্যাপী ঈদ পুনর্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল।
গেস্ট অব অনার ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট দল, বর্তমান শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আলম চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি সাবেক কারা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, বরিশাল সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) চন্দন কান্তি নাথ, ডা. মোস্তফিজুর রহমান, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, প্রফেসর ড. কনক কুমার বড়ুয়া, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মকবুল আহমদ, সুপারিশ প্রাপ্ত সহকারী জজ রিগান বড়ুয়া সৌরভসহ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যাংকার মো. জসিম উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম ও ক্রীড়া ভাষ্যকার সেলিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কান্তি পাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আলম চৌধুরী।
প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সদস্য সচিব হারুন অর রশিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন, ব্যাংকার শাহাদত হোসাইন, শিক্ষক আবদুল গফুর, আসহাব উদ্দিন, কায়দা আজম, সমরেশ বড়ুয়া, শিক্ষক আবদুস ছবুর, রোকন উদ্দিন, রূপন কান্তি নাথ, নজরুল ইসলাম, আবু হানিফ, ব্যাংকার তুষার বড়ুয়া, বেলাল উদ্দিন, হামিদ হোসেন আজাদ, ফৌজুল কবির, রাকিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, আমাদেরকে মানবিক ও নৈতিক গুণ সম্পন্ন হতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে হবে। আমার প্রাণপ্রিয় এই স্কুলকে কারিগরি শিক্ষায় উন্নীত করতে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো।
ডিজে