চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রকাশ্যে একটি ছেলেশিশুকে যৌননিপীড়নের চেষ্টা করেছেন দুবাইপ্রবাসী এক যুবক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকেই ওই শিশুনিপীড়ককে গ্রেপ্তার করে তার শাস্তি দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাপড়ুয়া ওই যুবকের নাম নুরুল ইসলাম। সাতকানিয়া পৌরসভার ছমদর পাড়া ৪নং ওয়ার্ডের ১ নম্বর গলিতে তার বাড়ি। তিনি জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরীর প্রতিবেশী।
জানা গেছে, আবদুস সালামের পুত্র শিশুনিপীড়ক নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দুবাইপ্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে এসেছেন। সাতকানিয়া ডলু ব্রিজের পাশে তাদের পারিবারিক একটি ফলের দোকান আছে। নুরুল ইসলাম সমকামী কিনা— এ নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাতকানিয়া সদরের একটি দোকানে দুটি ছেলেশিশু দাঁড়িয়ে ছিল। মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি পরা শিশুনিপীড়ক নুরুল ইসলাম এ সময় একটি চার-পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ডেকে জড়িয়ে ধরে। এ সময় তিনি ওই শিশুটির বুক ও পিছনের অংশে সজোরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করতে থাকে। শিশুটি ভয় পেয়ে দৌড়ে পাশের আরেকটি দোকানে চলে যায়। শিশুনিপীড়ক নুরুল ইসলামও পেছন পেছন ওই শিশুটির দিকে এগিয়ে যায়। এরপর কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ঘটনাটি গত ১১ মার্চ ঘটলেও সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ পায় বুধবার (১৯ মার্চ)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কেউ কেউ শিশুনিপীড়ক নুরুল ইসলামের বাড়িতে গেলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন।
শিশুকামিতা নিয়ে কাজ করেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিকৃত যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য অপরাধীরা সব থেকে সহজ টার্গেট হিসেবে বেছে নেয় শিশুদের। কারণ শিশুরা সাধারণত অধিক কৌতুহলী, অপরিণামদর্শী, অবুঝ, অবলা, নিরীহ ও অরক্ষিত। অনেক সময় তাদের উপর কী ঘটছে সেটাই তারা বুঝতে পারে না। তাছাড়া শিশুদের উপর ক্ষমতা প্রদর্শন সহজ এবং প্রতিরোধ থাকে না। তারা মানসিক শারীরিকভাবে দুর্বল পথবাসী, শ্রমজীবী, দরিদ্র শিশুরা এর শিকার হয়। যারা শিশুদের যৌন উৎপীড়ণ করে আনন্দ পায় তারা পেডোফাইল বা শিশুকামী। নারীদের যৌন নিপীড়নের কথা আলোচনায় এলেও সামাজিক সচেতনতার অভাবে শিশু যৌন নিপীড়ন, শিশুকামিতা বা পেডোফেলিয়ার মতো কুৎসিত নোংরা ব্যাপারটি লোকলজ্জার কথা ভেবে ভেবে লুকোছাপা থেকে যাচ্ছে বরাবর।