চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানের জবাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

চট্টগ্রাম বন্দরে ঠিকাদারদের ‘লুটপাট সিন্ডিকেট’

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যুতে সিন্ডিকেটের খেলা, নিয়ম ভেঙে কাজ পাচ্ছে পছন্দের লোক’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদকের ইমেইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়।

কী ছিল অভিযোগ?

২৯ মার্চ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ক্রয় আইনকে পাশ কাটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিচ্ছে, যা কেবল দুর্নীতির অভিযোগই নয়, বরং সরকারি তহবিলের অপব্যবহারকেও সামনে নিয়ে এসেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে এড়িয়ে উচ্চ মূল্যে চুক্তি করা হচ্ছে, যাতে বন্দরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশের প্রমাণ মিলছে। লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল-২ প্রকল্পে দরপত্র কারসাজির মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে চুক্তি হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতাদের অযোগ্য ঘোষণা করে তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার ঘটনায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে। এএন্ডজে ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান অতীতেও বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গড়ে ওঠা বড় ওই সিন্ডিকেট এখনও আরও বেপরোয়া। এর ফলে বন্দরের দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের শক্তিশালী জালে আরও বেশি সরকারি অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্দরের বিদ্যুৎ বিভাগ লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল-২-এর একটি প্রকল্পে কিভাবে দরপত্রে জালিয়াতি ও শর্ত পরিবর্তন করে পছন্দের ঠিকাদারকে সুবিধা দিয়েছে— তার বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন।

বন্দর কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মূল্যায়নে একাধিক স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়—কিছু প্রতিষ্ঠানকে ইচ্ছাকৃতভাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, আবার একই অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও অন্য প্রতিষ্ঠানকে ‘যোগ্য’ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি দরপত্রের নির্ধারিত প্রযুক্তিগত শর্ত পর্যন্ত পরিবর্তন করে সুবিধা দেওয়া হয়েছে পছন্দের ঠিকাদারকে, যেমন কম ওজনের লাইট ও নিম্নমানের চীনা পণ্য গ্রহণ, যা স্পষ্টত দরপত্রের শর্তের পরিপন্থী। অথচ এসব বিষয়ে বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রশ্নের জবাবে অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

এছাড়া দরপত্রে জাল নথিপত্র ব্যবহারের বিষয়েও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যেমন ম্যাক্সওয়েল ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভুয়া অথরাইজেশন লেটার জমা দেয় জার্মান কোম্পানির নামে, যেটি পরে ওই কোম্পানিই অস্বীকার করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যত তা উপেক্ষা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট দরপত্র প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা নষ্ট হচ্ছে এবং সরকারি অর্থের অপচয় বাড়ছে। এমনকি রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আত্মীয়দেরও নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানের জবাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘সম্পূর্ণ দরপত্রটি ই-জিপি সিস্টেমে সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিকালি সম্পাদিত হয়েছে, সেহেতু এই স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে কোনো ধরনের ম্যানিপুলেশনের সুযোগ নেই। এছাড়াও পিপিআর ২০০৮ অনুসারে দরপত্রের মূল্যায়ন কার্যক্রম একটি গোপনীয় ব্যপার, সেইক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা মান্য করেই দরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পিপিআর-২০০৮ এর কোনো বাত্যয় হয়নি। উল্লেখ্য, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান A.M Engineering দরপত্র মূল্যায়ন চলাকালীন সময়ে সময়ে বিভিন্নভাবে মাননীয় নৌ উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব/নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান/চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সদস্য (প্রকৌশল) এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিকে সময়ে সময়ে দরপত্র মূল্যায়নে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছে। এছাড়াও উক্ত ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী ও সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর কার্যালয়ের প্রধান বরাবর অভিযোগ দাখিল করা ছাড়াই সিনিয়র সচিব/নৌপম বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন যা সুস্পষ্ট PPR-২০০৮ ধারা ৫৭ এর লংঘন।’

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বক্তব্য
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দ্বিতীয় সর্বনিন্ম দরদাতা প্রতিষ্ঠান এএম ইঞ্জিনিয়ারিং বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্য সিডিউলের চাহিদামতো ৩০০ ওয়াটের এলইডি লাইটের জন্য জার্মানির সিটিকো জিএমবিএইচের ‘অথরাইজেশন লেটার’ দিয়ে টেন্ডার অফার করেছে, যা মূল্যায়ন কমিটি বিবেচনাতেই নেয়নি। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে কোন্ বিবেচনায় রেসপনসিভ বা নন-রেসপনসিভ করা হবে, ই-জিপি সিস্টেমে তার কোনো মাপকাঠি নেই। মূল্যায়ন কমিটির ইনপুট দেওয়া ডেটার মাধ্যমেই প্রকৃতপক্ষে সেটি নির্ধারণ হয়ে থাকে। তৃতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে অবৈধ সুবিধা দিতে গিয়ে বরং এএম ইঞ্জিনিয়ারিংকে যেভাবে ‘টেকনিক্যালি নন-রেসপনসিভ’ ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে উল্টো পিপিএ ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮-এর লঙ্ঘন হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ বারবার পিপিআর মানার দোহাই দিলেও আলোচ্য দরপত্রে নিম্নমানের পণ্য মেনে নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান এএন্ডজে ইন্টারন্যাশনালকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বেশি মূল্যে বিস্ময়কর গোপনীয়তায় ‘নির্বাচিত’ করার মাধ্যমে নিজেরাই পিপিআর লঙ্ঘন করেছে, যা স্পষ্ট।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্নপূর্বক দেখা যায়, ই-জিপিতে প্রথম লোয়েস্ট Maxwell International এবং ২য় লোয়েস্ট M/S A.M Engineering উভয়ই একই ব্র্যান্ডের ও একই মডেলের হাইমাস্ট লাইট (Siteco GmbH FL 21Midi) অফার করেছিল। উভয় ঠিকাদার কর্তৃক e-GP তে সাবমিটকৃত ডকুমেন্ট যাচাইপূর্বক দেখা যায়, উক্ত লাইটের ক্ষেত্রে চবক এর ব্যয় প্রাক্কলন ও দরপত্রের শিডিউলে লাইটের ওয়াটেজ (৩০০ওয়াট) ,ইন্সটলেশন হাইট (সর্বোচ্চ ৩০ মিটার) এবং ওয়েট (সর্বোচ্চ-৭.৮ কেজি) চাহিদার বিপরীতে উভয় ঠিকাদারের অফারকৃত লাইট (Siteco GmbH FL 21Midi) এর ওয়াটেজ ২০৮.১ ওয়াট থেকে ২৮৬.৬ ওয়াট ,ইন্সটলেশন হাইট সর্বোচ্চ ৮-১২ মিটার এবং ওয়েট (১০.২ কেজি) যা উক্ত দরপত্রের Techncial Specification এর শর্ত পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। উল্লেখ্য যে, ৩০ মিটার উচ্চতায় স্থাপনের জন্য কম ওয়েট সম্বলিত LED Light অধিকতর গ্রহণযোগ্য। উক্ত দরপত্রের ক্ষেত্রে Specific Experience এবং Technical Specification এর বিষয়টি বিবেচনা করে eGP তে ১ম লোয়েস্ট Maxwell International এবং Technical Specification বিবেচনায় নিয়ে ২য় লোয়েস্ট M/S A.M Engineering উভয়কেই e-GP সিস্টেম কর্তৃক টেকনিকালি নন রেস্পন্সিভ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে তৃতীয় লোয়েস্ট বিডকারী M/S A&J International উক্ত দরপত্রের Specific Experience এবং তাদের অফারকৃত লাইট Abacus 60700-301 F LUM Midi, CPA এর চাহিদা মোতাবেক Technical Specification (Wattage-300W, Installation Height- No restriction, Suitable for Open Area, Sport, Road, Amenity ) ও এর শর্ত পূরণ করায় এবং বর্তমানে চবক এ উক্ত হাইমাস্ট লাইটটি ব্যবহৃত হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় বিধায় M/S A&J International এর সকল সাবমিটকৃত ডকুমেন্ট যাচাই পূর্বক e-GP তে সিস্টেম কর্তৃক উক্ত ঠিকাদারকে টেকনিকালি রেস্পন্সিভ করা হয়।’

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বক্তব্য
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এখানে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। যেমন প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা টেন্ডারের শর্তানুসারে একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ম্যাক্সওয়েল নামের ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পিপিআর অনুযায়ী যেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও ওই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ই-জিপিতে কোয়্যারি দেওয়ার বিধান থাকলেও বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য পিপিআর অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে সেটি উপেক্ষা করে যাওয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বেশিরভাগই মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবেও যার ভিত্তি নেই। যেমন— ৩০ মিটার উচ্চতায় স্থাপনের জন্য কম ওয়েট সম্বলিত এলইডি লাইট অধিকতর গ্রহণযোগ্য— এমন যুক্তিও কর্মকর্তাদের বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই খাড়া করা হয়েছে। ১০ কেজি ওজনের একটি এলইডি ফ্লাডলাইটে লুমেন আউটপুট দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য যে পরিমাণ পলিমার ম্যাটেরিয়াল করা হয়, ৭ কেজি ওজনের একটি লাইটে তার চেয়ে অনেক কম ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। এ কারণে কম ওজনসম্পন্ন লাইটগুলোর লুমেন আউটপুটও দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়। বন্দরের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এসব জেনেও নিজেদের স্বার্থে সরকারি অর্থ অপচয়ের পথ তৈরি করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘জেটি এলাকার কেমিকাল শেডে লিফট সংগ্রহের জন্য OTM পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়। উক্ত দরপত্রে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। দরপত্র মূল্যায়নকালে দেখা যায়, প্রথম চারটি প্রতিষ্ঠানের লিফট কোয়ালিটি, লিফটের আফটার সেলস কাস্টোমার রিভিউ, কেমিকাল শেডের জন্য স্পেশালাইজড Cargo Lift এবং Specific Experience দরপত্রের চাহিত শর্ত অনুযায়ী না হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে e-GP তে Non-Responsive করা হয় এবং উপরোক্ত যোগ্যতার ভিত্তে পঞ্চম সর্বনিম্ন দরদাতা CPDL Limited এর দাখিলকৃত কাজসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাজের সত্যতা যাচাই পূর্বক উক্ত প্রতিষ্ঠান CPDL Limited কে দরপত্র মূল্যায়নে e-GP সিস্টেমে Technically Responsive হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে NOA ইস্যু করা হয়। এক্ষেত্রে পিপিআর ২০০৮ এর কোনো বাত্যয় করা হয়নি। এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক পরিচয়কে কখনোই বিবেচনা করা হয়নি।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বক্তব্য
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বন্দরের কেমিক্যাল শেডের লিফটের দরপত্রে অন্তত একটি সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ফান্স-চীনা কোম্পানি ENVOL-SODIMAS ব্র্যান্ডের লিফট অফার করেছিল। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এই ব্র্যান্ডের বহু লিফট চালু আছে। অথরাইজইড ডিলারের চট্টগ্রামে নিজস্ব অফিস রয়েছে, যারা নিজেরাই ইনস্টলেশন, টেস্টিং, কমিশনিংসহ মেনটেইন্যান্সের কাজও করে থাকে। অন্যদিকে সিপিডিএল মূলত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি হয়েও প্রায় সমমানের লিফট অফার করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের আত্মীয় হওয়ায় এই সুবিধা পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘দরপত্রের নথিপত্র যাচাইপুর্বক দেখা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান M/S A&J International এর মালিক জনাব মোঃ জাহাংগীর আলম এবং Maxwell International এর মালিক মোঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ। এক্ষেত্রে উভয় প্রতিষ্ঠানের মালিক ভিন্ন বলে প্রতীয়মান হয়।’

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বক্তব্য
প্রতিবেদনের কোথাও ম্যাক্সওয়েল ও এএন্ডজের মালিক একই, সেটা বলা হয়নি। কিন্তু নিয়ন্ত্রক হিসেবে এএন্ডজে ইন্টারন্যাশনালের জাহাঙ্গীর আলমের নাম ব্যবসায়ীদের মুখেই উঠে এসেছে বারেবারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm