নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে খেলার সময় গলায় মার্বেল আটকে প্রাণ হারিয়েছে তিন বছরের শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলেও সেখানে ছিল না এক্স-রে মেশিন ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।
নিহত শিশুর নাম আথনাজ। সে গাছুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছবি রহমানের বাড়ির দুবাই প্রবাসী আশ্রাফুন নবী বাবলুর ছোট মেয়ে।
বুধবার (১৮ জুন) রাতে সন্দ্বীপের একই ইউনিয়নের মোয়াজ্জম খাঁর বাড়িতে বেড়াতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আথনাজের নানা ফখরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার আথনাজ নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বাড়িতে আরও কিছু মেহেমান ছিল। বুধবার রাতে আথনাজ তার বড় বোনসহ অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। রাত ৮টার দিকে খেলার সময় আথনাজ একটি মার্বেল খেয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ-মুখ অস্বাভাবিক দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে গাছুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিদ্যুৎ, এক্স-রে মেশিন এবং গলা থেকে মার্বেল বের করার মতো কোনো মেশিন ছিল না।
পরে আথনাজকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হারামিয়া স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত আনুমানিক ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
আথনাজের মামী রোকেয়া বেগম বলেন, গাছুয়া সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। পুরো হাসপাতালে অন্ধকার। আমরা বাড়ি থেকে টর্চলাইট নেওয়ার ব্যবস্থা করি। সেখানে থাকা ডাক্তাররা মার্বেল বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু গলার ভেতরের আটকে যাওয়া জিনিস বের করার যন্ত্রপাতি, এক্স-রে মেশিন কিছুই ছিল না। হাসপাতালে এসব যন্ত্রপাতি থাকলে হয়তো আথনাজকে বাঁচানো যেত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অপু চক্রবর্তী বলেন, শিশুটিকে যখন আনা হয় তখন তার মুখে রক্ত ছিল। আমরা শিশুটিকে সিলিন্ডারের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে গলায় আটকে যাওয়া বস্তু বের করে আনার জন্য যা যা করণীয় ছিল, তা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু গলার গভীরে আটকানো বস্তু বের করে আনার মতো যান্ত্রিক সুবিধা আমাদের নেই। তাছাড়া আমাদের এক্স-রে মেশিন নেই এবং তখন হাসপাতালে বিদ্যুৎও ছিল না। তাই শিশুটিকে দ্রুত বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডিজে