পটিয়ায় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আলোচিত হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে’র ওপর বর্বোরোচিত হামলার ঘটনার সাত দিন পর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) শ্যামল দে বাদি হয়ে পটিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০-৩০ জনকে।

প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। হামলার দিন তারা আমাকে একা পেয়ে রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি। এ ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন শিক্ষক সমাজ গঠনের কারিগর। তার ওপর এভাবে প্রকাশ্যে মব সৃষ্টি করে হামলা শিক্ষাঙ্গনের জন্য বড় কলঙ্ক। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, হাইদগাঁও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগটি আমরা গ্রহণ করেছি। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।

গত ২১ আগস্ট সকালে পটিয়া পৌরসদরে নিজ বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত শ্যামল দে আহত অবস্থায় স্কুলে পৌঁছে তার ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন এবং এই নৃশংস হামলার বিচার দাবি করেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদিন প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে সিএনজি অটোরিকশায় করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মুখোশপরা ৬–৭ জন সন্ত্রাসী অটোরিকশার পথরোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্রও দেখা যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এসময় তার সঙ্গে থাকা দুই শিক্ষক তানিয়া ইয়াসমিন ও প্রান্ত বড়ুয়া এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে সেদিন বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm