পদ্মা অয়েল থেকে পাইপলাইনে ২ লাখ ঘনমিটার ‘জেট ফুয়েল’ গেল চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

৩ ট্যাংকে মজুদ থাকবে ছয়দিনের জ্বালানি

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে ২ লাখের বেশি ঘনমিটার জ্বালানি পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

পদ্মা অয়েল থেকে পাইপলাইনে ২ লাখ ঘনমিটার ‘জেট ফুয়েল’ গেল চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে 1

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেট এ-১ পাইপলাইন, চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

জানা গেছে, ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের অভ্যন্তরীণ ইপক্সি কোট ও বাহ্যিক থ্রি এলপিই কোট সম্বলিত ন্যূনতম দেড় মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জ্বালানি পরিবহন করতে সক্ষাম। তবে পদ্মা অয়েল এভিয়েশন ডিপোতে ৩টি ট্যাংকের প্রতিটিতে ৪ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার করে জ্বালানি ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে। সেইহিসেবে তিনটিতে মজুদ থাকবে ১২ লাখ ৬০ হাজার ঘনমিটার জ্বালানি। এসব জ্বালানি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ছয়দিনের খোরাক। ছয়দিন পর আবারও ট্যাংকে জ্বালানি মজুদ করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী অমিত কুমার বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩২টি এয়ারক্রাফটের জন্য ২ থেকে আড়াই লাখ ঘনলিটার ফুয়েল লাগে। অনেক সময় ফ্লাইটের সংখ্যা কম হলে জ্বালানিও কম লাগে।

আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অপা. ও পরি.) ড. একেএম আজাদুর রহমান এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর।

অমিত কুমার বড়ুয়া আরও জানান, গুপ্ত খালে পদ্মার প্রধান স্থাপনা থেকে ট্যাংকলরি যোগে ৮ কিলোমিটার দূরে শাহ আমানতে অ্যাভিয়েশন ডিপোতে জেট এ-১ সরবরাহ করা হতো। এ বিমানবন্দরের চাহিদা দৈনিক ২ লাখ ২৫ হাজার লিটার, বছরে ৬৫ হাজার টন। ট্যাংকলরিতে এ জ্বালানি পরিবহনে খরচ হতো বছরে ৮ কোটি টাকা। ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের অভ্যন্তরীণ ইপক্সি কোট ও বাহ্যিক থ্রি এলপিই কোট সম্বলিত ন্যূনতম দেড় মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জ্বালানি পরিবহনে হচ্ছে। ৩০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প স্ক্যাডা পরিচালিত কন্ট্রোল ও অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm