সকল সরকারের আমলেই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকরা হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন, শারীরিক নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন, এমনকি অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন।
তবে সাংবাদিকদের নির্ভীক লেখনী ও প্রতিবাদের মুখে বারবার পরাজয় বরণ করতে হয়েছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে। অনেককেই কারাবরণ করতে হয়েছে, অনেকেই পালিয়ে বাঁচতে বাধ্য হয়েছেন। তাই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকে আরও দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সাথে তাদের লেখনী চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে খাগড়াছড়ির কারানির্যাতিত সাংবাদিক নেতা ও খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহমদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান আকাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস.এম. আক্কাছ উদ্দীন, এনামুল হক, সালাউদ্দীন জিকু, ওবায়দুল আকবর রুবেল, ইউসুফ আরফাত, কামরুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার পেছনে কিছু রাজনৈতিক নেতা ও কতিপয় সাংবাদিক নেতার ভূমিকা ‘রহস্যজনক’। তাকে শুধু কারাবন্দীই করা হয়নি, জেলে থাকাকালীন সময়ের ঘটনায়ও তাকে আসামি করা হয়েছে। একজন সাংবাদিক নেতাকে কতটা ভয় পেলে এমন জঘন্য কাজ করা যায়, তা জাতি জানতে চায় বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা প্রদীপ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত কারামুক্ত সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী বলেন, তিনি ১৯৯৮-৯৯ সালে ফটিকছড়িতে সৎ সাংবাদিকতার বলি হয়েছিলেন। এরপর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার পথ প্রসারিত করলেও সেখানেও ২০২৪ সালে বলি হতে হয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস কারাবাস তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তবে এই কারাবন্দিত্ব তাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও সৎ সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজ তার প্রতি যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সংহতি দেখিয়েছেন, তা তিনি আজীবন স্মরণে রাখবেন বলে জানান।