চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড় দেখতে গিয়ে পথ হারিয়ে নিখোঁজ ৭ স্কুলছাত্রকে একদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিল। তারা সবাই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় ধুইল্যা জিরি এলাকায় গহীন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে তারা পাহাড়ে গিয়ে পথ হারায়। রাত সাড়ে ৯টায় বাঁশখালী থানায় জিডি করে সাত ছাত্রের পরিবার।
সাত স্কুলছাত্র হলো—সালাউদ্দিন ওয়াশিমের ছেলে আবরার উদ্দিন ইশরাক (১০), মো. মঞ্জুর আলমের ছেলে মাহাতাব সামিদ (১০), শিব শংকর দাসের ছেলে কৃদুশিক দাস(১০), মো. ইউনুসের ছেলে মোহাম্মদ জিনান (১০), মাহামুদুলের ছেলে মোহাম্মদ বিন মাহমুদ আল জাওয়াহারি (১১), আবুল কাসেমের ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবু (১০) এবং নবী হোসেনের ছেলে মো. সাঈদ (১০)। তারা সবাই বাঁশখালী উপজেলা সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩টায় অভিভাবকদের না জানিয়ে পাহাড় দেখতে যায় সাত ছাত্র। বিভিন্ন পাহাড় ঘুরতে ঘুরতে তারা বাঁশখালী পৌরসভার অদূরে ধুইল্যাজিরির গভীর জঙ্গলে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে।
রাত ৯টা পর্যন্ত বাসায় ফিরে না আসায় অভিভাবকরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ৭ স্কুলছাত্র নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় অভিভাবকরা কান্নাকাটি শুরু করেন।
এরপর বাঁশখালী থানায় জিডি করেন অভিভাবকরা। প্রশাসন স্কুলছাত্রদের চলাফেরার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযানে নাম। শনিবার সকালে কৃষকরা পাহাড়ে কাজ করতে গেলে ধুইল্যা জিরি এলাকায় গভীর পাহাড়ে ওই ৭ ছাত্রকে দেখতে পায়। তারা পুলিশকে সকালে খবর দিলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) জামশেদুল আলম ও থানা পুলিশ গিয়ে স্কুলছাত্রদের উদ্ধার করে।
পরে অভিভাবকদের হাতে হস্তান্তর করা হয় তাদের। পাহাড়ে পথ হারানো এই ৭ স্কুল ছাত্র রাতে পাহাড়ের ভেতর থাকা একটি টং ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিভাবকরা থানায় নিখোঁজ হওয়ার খবর পৌঁছানোর সাথে সাথে আমাদের ৩টি পুলিশ টিম একসাথে মাঠে কাজ করতে নামে। বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে ওই ছেলেদের গতিবিধি দেখে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। অবশেষে তাদের উদ্ধারের পর জানা গেছে, পাহাড় দেখতে গিয়ে তারা পথ হারিয়েছিল।
বাঁশখালীর ইউএনও জামশেদুল আলম বলেন, ৭ স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাদের উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের আন্তরিকতার কমতি ছিল না। পাহাড় থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে রাতভর সবাইকে আতংক ও উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়েছে।
ডিজে