বোয়ালখালীর প্রায় সড়ক বাতি নষ্ট, সন্ধ্যার পর বাড়ে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার প্রায় সড়কে সড়কবাতি নেই, আর যে সড়ক গুলো আছে, তারও বেশিরভাগ নষ্ট। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা। এতে চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন পৌরবাসী।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কেই অনেক দূর পরপর দু–চারটা লাইট জ্বলে না। তারপর আবার কিছুটা অন্ধকার। সড়কের পাশে ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সেগুলোর বাতি নষ্ট থাকায় আলো জ্বলছে না। বর্তমানে সড়কগুলোতে যে পরিমাণ সড়কবাতি জ্বলছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।

পৌর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রহিম বলেন, গত ১ বছর ধরে উপজেলা হতে মুরাদ মুন্সির হাট পর্যন্ত সড়কের বাতি জ্বলছে না। আমি নিজে পৌরসভায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছি না।

আছহাব উদ্দিন দুলাল নামে আরেকজন বলেন, পৌরসভার সবচেয়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসবাস করি। হেডকোয়ার্টার হতে মুরাদমুন্সির হাট পযর্ন্ত যদি ৩০টি লাইট থাকে তারমধ্যে ২৮টি লাইট নষ্ট শুধু দুটি লাইট জ্বলে। লাইট না জ্বলার কারণে প্রতিনিয়তে আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি।

গোমদন্ডী রেল লাইনে থেকে অলি বেকারি, হাজিরহাটের বাতি গুলো প্রায় নষ্ট হয়েছে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন প্রায় জায়গায় বাতি নষ্ট হয়েছে বলে জানান হাজিরহাট ব্যবসায়ী মো। জাহাঙ্গীর।

পৌরবাসিন্দা মো। আকবর বলেন, কালুরঘাট টোল অফিস থেকে রায়খালী পর্যন্ত অনেক সড়কবাতি নষ্ট। সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়।

অথচ পৌরসভা হিসেবে বাসিন্দাদের ঠিকই কর দিতে হচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার নেমে আসে। সড়কবাতি না থাকার কারণে এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে পৌরসভার উপ- সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুরাদ মুন্সির হাটের লাইটগুলো আজ সন্ধ্যার মধ্যে মেরামত করা হবে। লাইট একটা নষ্ট হলে আর একটা লাগানোর সময় দিতে হবে। বর্ষার সময় প্রতিদিন কাজ করতে পারে না। আর কালুরঘাট হতে রায়খালী পযর্ন্ত সড়কবাতি গুলো মেরামত কাজ আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে পারব।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm