ভাতিজাকে মারার কারণ জানতে চাওয়ায় প্রতিবেশির হামলায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের পাঁচ ব্যক্তি। এদের মধ্যে তিনজনের মাথায় কোপ পড়েছে। এ ঘটনায় আটজনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৩৫ জনসহ মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে পাহাড়তলীর কালা মিয়া চৌধুরী বাড়ির বাচা রোডে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন—মো. নিলয় (১৯), আরভি (২৫), মো. কামাল হোসেন (৪২), মো. আইয়ুব আলী (৪৭), মো. সেলিম (৪৬), মীর হোসেন (২৮), মো. সাইফুল (৪২) এবং খুরশিদা বেগম (৩৫)।
হামলায় আহতরা হলেন—মো. কাইসার, ফেরদৌস আলম (৪০), ইদ্রিস আলম (৪৫), মোছা. রহিমা বেগম (৬৫) ও আহনাফ আলম আদিয়ান (১২)।
ভুক্তভোগীর কাইসারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আদিয়ানকে বিবাদিরা মারধর করলে, কারণ জানতে কাইসার ও তার ভাগিনা ওমর ফারুক যান আইয়ুব আলীর কাছে। এক পর্যায়ের তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হলে আইয়ুব আলী তার সঙ্গীদের ডাকে। এ সময় নিলয় এসে কাইসারকে মাথার ডান পাশে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। কাইসারের চিৎকারে ঘরের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এতে ফেরদৌস ও ইদ্রিসের মাথায় আঘাত করে। এমনকি তারা কাইসারের মা রহিমা বেগমকে মারধর করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদির এজাহার ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মরহুম আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি হলেন কামাল হোসেন ওরফে স্বপ্ন। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেএস/ডিজে