মিরসরাইয়ে পর্যটক-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনার রাস্তায় বেলা ১১টায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন পর্যটকরা।

পরে পুলিশ এলে পর্যটকবাহী বাসটি চলে যায়।

জানা গেছে, বুধবার সকালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থেকে বাস নিয়ে ঝরনায় ঘুরতে আসেন একদল পর্যটক। বাস নিয়ে মহাসড়ক থেকে ঝরনার সড়কে প্রবেশ করার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা মিলে বাধা দেয় তাদের। এসময় উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

আহত পর্যটক বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা বাধা দেয় এবং আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে সংঘর্ষ বাঁধলে এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের এমন আচরণে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে সিএনজিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা শুধু বলেছিলাম, বড় বাস ঝরনায় প্রবেশ করা যাবে না। কারণ সড়কটি ছোট, সব বাস মহাসড়কে থাকে। এখান থেকে সিএনজি, রিকশাযোগে অথবা হেঁটে ঝরনায় যেতে হয়। তারা সেকথা মানতে রাজি নয়। তখন তারা ১০-২০ জন মিলে আমাদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি মারেন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের বাস খৈয়াছড়া ঝরনা সড়কে ঢুকার সময় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তৎক্ষনাৎ পর্যটকরা বাস নিয়ে চলে যায়।

সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি আতিকুর।

এএইচ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm