কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে মাদক, অস্ত্র ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি চালাচ্ছে বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। সীমান্ত সুরক্ষায় যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সার্ভিলেন্স রাডার, ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নাফ নদীর জেটিতে বসানো হয়েছে সার্ভেলেন্স রাডার। এটি পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় বস্তুর অবস্থান, গতি ও উপস্থিতি সহজেই শনাক্তে সক্ষম। নাফ নদীর ৩৩ কিলোমিটার এবং শাহপরীরদ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকা নজরদারির জন্য বসানো হয়েছে ছয়টি সার্ভিলেন্স রাডার। এর ফলে ফাঁকি দিয়ে কোনো কিছু প্রবেশ এখন প্রায় অসম্ভব।
টেকনাফ-২ বিজিবির সার্ভিলেন্স রাডার অপারেটর মো. আজিজুল হক বলেন, এ রাডার সর্বোচ্চ ৯৬ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত কাজ করে। এক নটিক্যাল মাইল সমান এক কিলোমিটার ৮০০ মিটার। ৫ কিলোমিটার এলাকায় অপারেশন কার্যক্রম চালালে প্রত্যেকটা নৌকা ধরতে পারি। একটা নৌকা যখন মিয়ানমার থেকে বের হয়, আমরা তার অবস্থান সহজে জানতে পারি। শুধু রাডার নয়, বিজিবিতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা। ড্রোনের মাধ্যমে দুর্গম এলাকা যেমন সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি থার্মাল ক্যামেরায় অন্ধকার, রাত কিংবা বৈরী আবহাওয়াতেও দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত শনাক্ত হচ্ছে যে কোনো বস্তর অবস্থান গতি এবং উপস্থিতি।
টেকনাফ-২ বিজিবির ড্রোন অপারেটর আলহাজ হোসেন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোনের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করে আটক করা হয়। এছাড়া দুর্গম জালিয়াদ্বীপেও ড্রোন পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবির থার্মাল অপারেটর নায়েক মাহাবুব আলম বলেন, মিয়ানমার থেকে কোনো লোক সাঁতার কেটে প্রবেশ করলে খুবই সহজে শনাক্ত করা যায়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, সীমান্তে মোতায়েন করা জনবলের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। পাশের রাষ্ট্রে আমাদের এখান থেকে কিছু সন্দেহজনক নৌযানের গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। যা আমরা আন্তঃবাহিনী সমন্বয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নিয়মিত তথ্য দিয়ে যাচ্ছি। যে জায়গা নিয়ে সংশয় তৈরি বা নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, এটা আমরা খতিয়ে দেখছি।
ডিজে