অবশেষে আলো দেখতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তীরের বহু প্রত্যাশিত ‘কর্ণফুলী হাউজিং প্রকল্প’। ৩৩ বছর আগে বরাদ্দ পাওয়া এই প্রকল্পে শিগগিরই ওয়াসার পানি সংযোগ যাবে। একইসঙ্গে প্লট মালিকরা চাইলে সেখানে ১০ তলা বা তার অধিক ভবন নির্মাণ করতে পারবেন।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে প্রকল্পের প্লট মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩৩ বছর আগে বরাদ্দ পাওয়া কর্ণফুলী হাউজিং সোসাইটির মতো একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সিডিএ উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন সুপেয় পানির অভাবে প্রকল্পটি কার্যকর হয়নি। ওয়াসার ভাণ্ডারজুড়ি প্রকল্প থেকে প্লট মালিকদের নিজস্ব অর্থায়নে অচিরেই পানি সংযোগ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিডিএর অনুমতি নিয়ে এখানে ১০ তলা বা তার বেশি ভবন নির্মাণের সুযোগ থাকবে। প্লট মালিক সমিতির সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সমিতির এজিএমে অনুমোদন পেলেই আর কোনো আইনি জটিলতা থাকবে না।’
প্রকৌশলী নুরুল করিম আরও বলেন, ‘নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে পুরনো অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ সিডিএ। কর্ণফুলী হাউজিং বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের আবাসন সংকট অনেকটাই কমবে, পাশাপাশি সরকারও বিপুল রাজস্ব পাবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী হাউজিং সোসাইটির সভাপতি অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
বক্তব্য দেন সমিতির অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি গোলাম ওয়ারেছ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হুদা চৌধুরী, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মো. কাশেম চৌধুরী, সিপিডিএল প্রতিনিধি খাইরু জামান জোয়ার্দার, সিডিএ প্রকল্প পরিচালক মো. ইলিয়াস।
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যানের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন বক্তারা। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত প্ল্যান পাশ, সমিতির কার্যালয় স্থাপন ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোল মওকুফের দাবি তোলেন তারা।
মতবিনিময় সভা শেষে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য ২১ সদস্যের একটি কার্যকরী পরিষদ এবং ৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। পাশাপাশি পানি সংযোগ বাবদ সিডিএ’র নির্ধারিত ফান্ডে প্রতি কাঠায় ৫০ হাজার টাকা ও সদস্য ফি ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সবশেষে সমিতির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আলমগীর মহম্মদ ইউনুস।
জেজে/ডিজে