চট্টগ্রামে করোনায় কিশোরসহ ২ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসে মারা গেছে চারজন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন, যা গতকালের চেয়ে দ্বিগুণ।

রোববার (২২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনায় মৃত দুজন হলেন—মোহাম্মদ ইরশাদ (১৪) ও ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।

এদের মধ্যে ইরশাদ পটিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি থেকে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অপরজন ইয়াসমিনের ফুসফুসে সংক্রমণ জটিলতা ও যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার করোনা পজিটিভ অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছু সসয় পর রক্তে সংক্রমণজনিত ‘কার্ডিয়াক শকে’ তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ছয় ল্যাবে ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ জনের শরীরে। এর মধ্যে এপিক হেলথ কেয়ার ৮০ জনের মধ্যে ১ জন, পার্কভিউতে ২৮ জনের মধ্যে ২ জন, ইম্পেরিয়ালে ২২ জনের মধ্যে ৪ জন, শেভরণে ১৮ জনের মধ্যে ২ জন, মেট্রোপলিটনে ১৬ জনের মধ্যে ১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৩ জনের মধ্যে ১ জন, ন্যাশনালে ১১ জনের মধ্যে ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।

তবে এভারকেয়ারে ২৬ জন, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯ জন, মেডিকেল সেন্টারে ১০ জন, বিআইটিআইডিতে ৮ জন ও জেনারেল হাসপাতালে ২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রাম নগর ও ১ জন লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। এনিয়ে নগরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৬, আর উপজেলায় ৮ জন। এদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ৩৪ জন নারী ও ১ জন শিশু।

চট্টগ্রামে এক সপ্তাহে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজন। এদের ১জন নগর ও অপর ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এর আগে ১৬ জুন শফিউল ইসলাম নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি কিডনি জটিলতা ভুগছিলেন এবং ডায়ালাইসিস করছিলেন। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

২০ জুন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজিলাতুন্নেছা (৭১) নামে এক বৃদ্ধা মারা যান। তিনি নগরীর বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

ডিজে/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm