গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পে চট্টগ্রাম জেলার ১৯১ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। চারদিন ব্যাপী আট ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর ২টায় নগরীর একটি হোটেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১০ মার্চ থেকে শুরু হয় এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেন।
প্রকল্পের চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সাজেদুল আনোয়ারের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্টগ্রাম জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান।
এতে সেশন পরিচালনা করেন ডিস্ট্রিক্ট রিসোর্স টিমের সদস্য ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, সিনিয়র সহকারী জজ রুপন কান্তি দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেল মো. তারেক আজিজ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদুল আলম, যুব উন্নয়নের উপপরিচালক খন্দকার জাকির হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদলত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস, উপজেলা সমন্বয়কারী ওসমানগ গনি, আঁখি বড়ুয়া, মিল্টন চাকমা, ফখরুল ইসলাম খালিদবিন ওয়ালিদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা মূল্যমানের দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। চুরি, মারামারি, ঝগড়া, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারীর শ্লীলতাহানি, অর্থ আত্মসাৎ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ, দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধারসহ ২৭টি ফৌজদারি ও ৭টি দেওয়ানি বিষয় সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির সুযোগ রয়েছে গ্রাম আদালতে।