চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ঈদযাত্রার প্রথম চারদিনে তেমন চাপ না থাকলেও শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে তা বেড়েছে। তবে শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় যাত্রীদের হয়রানি পোহাতে হয়নি, অনেকটা স্বস্তিতে হচ্ছে এবারের ঈদযাত্রা।
মূলত আজ থেকে শুরু টানা ৯ দিনের ছুটি, সে হিসেবে ঈদের আগ পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রীর ভিড় বাড়বে বলে জানান রেল কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসে যাত্রীরা মালামাল নিয়ে উঠছেন। অনেকে আবার কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটের আশায়। অন্যান্য ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে স্টেশন থেকে।
সুবর্ণ ট্রেনের যাত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, অফিস বন্ধ হয়েছে আজ (শুক্রবার) থেকে। তাই পরিবার নিয়ে ঈদ করার উদ্দেশ্য বাড়ি যাচ্ছি।
এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। তবে প্রথম চারদিনে যাত্রীর তেমন চাপ ছিল না। বৃহস্পতিবার থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়েছে। ঈদে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার যাত্রী ট্রেনে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এজন্য ৯০টি কোচ মেরামত করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম থেকে এবার স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর সুযোগ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য ১৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওই দিন বিক্রি করা হয় ২৪ মার্চের টিকিট। সর্বশেষ ২০ মার্চ বিক্রি করা হয় ৩০ মার্চের টিকিট। এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ বিক্রি হবে ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট।
ফিরতি টিকিট ৬ এপ্রিল থেকে
এছাড়া ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। ওইদিন বিক্রি হবে ৩ এপ্রিলের টিকিট। ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের ২৯ মার্চের এবং ৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চের টিকিট।
আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন মাস্টার ম. শাহাবুদ্দিন বলেন, যাত্রীদের চাপ আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় যাত্রীদের হয়রানি শিকার হতে হয়নি।
এর আগে ২৫ মার্চ ঈদযাত্রা শুরুর দিন যাত্রীসেবার বিষয়গুলো দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন রেল কর্মকর্তারা। ওইদিন দুপুরে আন্তঃনগর ট্রেন গোধুলী, সোনার বাংলার খাবারের মান যাচাই করেন। এছাড়া প্রতিটি কোচে স্টুয়ার্ড, টিটি, গার্ডদের সুষ্ঠুভাবে সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উর রহমান, সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা নুরে জান্নাত, অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্ট তারেক ইমরান।
ডিজে