চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৮৪ হাজার তরুণের চাকরি নেই, প্রতি ৩ জনে একজনের ভরসা আত্মীয়-বন্ধুরা

পরিসংখ্যান ব্যুরোর নতুন জরিপ

ঢাকার পরেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেকার চট্টগ্রামে। সারাদেশে ২৬ লাখ ২৪ হাজার বেকারের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগেই ৫ লাখ ৮৪ হাজার বসবাস করেন। এসব বেকার তরুণ-তরুণীদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সাধারণত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে চাকরি খোঁজেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২৪ হাজার। সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ৬ লাখ ৮৭ হাজার বেকার রয়েছেন। এরপরে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। দেশের বিভাগওয়ারি হিসেবে ঢাকা বিভাগের পর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার বেকার তরুণ-তরুণী রয়েছেন। এছাড়া খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে এক লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে আছেন এক লাখ ৪ হাজার বেকার।

বেকার তরুণ-তরুণীদের ৩৬ শতাংশই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে চাকরি খোঁজেন। তারা মনে করেন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনই তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরি দিতে পারবেন। এছাড়া প্রায় ১২ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি চেয়েছেন।

বিবিএসের জরিপে চাকরি খোঁজা বা কর্মসংস্থানের নানান ধরনের পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। যেমন, সরাসরি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও চাকরি চান প্রায় ৯ শতাংশ বেকার। সাড়ে ৫ শতাংশ বেকার বিজ্ঞাপন দেখে চাকরির আবেদন করবেন কি না, তা মনস্থির করেন। সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেও অনেকে চাকরি চান। এই হার বেকারদের মধ্যে সাড়ে তিন শতাংশ।

জরিপে উঠে আসা চাকরি খোঁজার অন্য উপায়গুলো হলো প্রফেশনাল নেটওয়ার্কে নিজের জীবনবৃত্তান্ত জমা রাখা, সরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধন নেওয়া, বেসরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধন নেওয়া, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাকরি খোঁজা, ব্যবসা করার জন্য আর্থিক সহায়তা চাওয়া, ব্যবসার জন্য জমি-জায়গা চাওয়া, ব্যবসার লাইসেন্সের আবেদন করা ইত্যাদি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm