চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষাবরণ উৎসবের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নান্দনিক চট্টলার আয়োজনে আয়োজিত হলো বর্ণাঢ্য বর্ষা বরণ উৎসব।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ মোহাম্মদ খান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্ষা বরণ উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু গত পনেরো বছর ধরে অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ‘নতুন কুঁড়ি’র মাধ্যমে শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই ধারা আরও বিস্তৃত করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর আজ তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এ ধরনের সংস্কৃতিক আয়োজন, ফিরিয়ে আনবে গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নান্দনিক চট্টলার প্রেসিডেন্ট লায়ন ডা. ইসমত আরা বেগম। শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নৃত্য পরিবেশনা ও সংগীতানুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান ছিল আনন্দঘন পরিবেশে মুখরিত।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ খান। প্রধান আলোচক ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ কুদরত-খোদা তোতন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নান্দনিক চট্টলার উপদেষ্টা মো. মাহবুবুর রহমান সাগর ও প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ইলিয়াছ রিপন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, লায়ন মোহাম্মদ আরজু খান, লায়ন মুছা বাবলু, সেলিনা মাহবুব, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জুম বৃষ্টি, প্রধান সমন্বয়কারী তানজিন নিপা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কামাল উদ্দিন, লায়ন্স জেলা রিজিওন চেয়ারপার্সন লায়ন এম এ মান্নান এমজেএফ, হেল্পলেস স্মাইল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল কায়েস চৌধুরী, কবি ও গীতিকার হাকিম আলী, মিরসরাই এসোসিয়েশনের সম্পাদক তৌহিদ উদ দৌজা ভূঁইয়া, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহি, বিজয় ৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা লায়ন ডা. আরকে রুবেল, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শাহ মো. ইকবাল বাহার প্রমুখ।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, মো. আফজাল খান ও ফারহানা যুথী। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন সোমা বোস ও ফজলে আমিন শাওন। সংগীত পরিবেশন করেন তাসনিম জারিন ইসমি, প্রিয়া ভৌমিক, ইকবাল পিন্টু, আহমেদ নুর মাসুদ, মৌ চৌধুরী, ফ্লোরা, পিংকি সোলজার, সাথী, দিদার, এ আর বাবলু, বাউল মোজাহের, আফরোজা বেগম জলি, মেঘলা ও নাহিদ।

এ আয়োজনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বর্ষার আগমনী বার্তাকে ঘিরে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আবহ সৃষ্টি হয়, যা দেশীয় সংস্কৃতির উজ্জ্বল ধারাকে তুলে ধরেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm