দুই দিনেই জামিনে বেরিয়ে এলেন নারীকে লাথি মারা জামায়াত কর্মী আকাশ

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এক নারীসহ কয়েকজন কর্মীকে লাথি মেরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেওয়া জামায়াত ইসলামী থেকে বহিষ্কৃত কর্মী সিবগাতুল্লাহ ওরফে আকাশ চৌধুরী তার ‘সমঝোতামূলক’ আত্মসমর্পণের দুই দিনের মাথায় জামিনে বেরিয়ে এসেছেন।

বুধবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত আকাশের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, ১৫ জুন থেকে প্রতিদিন তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

‘আত্মসমর্পণ’ না ‘গ্রেপ্তার’—দুই ভাষ্যে বিভ্রান্তি

রোববার (১ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় আকাশ আত্মসমর্পণ করেছেন— এমন দাবি করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন আকাশ চৌধুরী। তার দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও একই সময় পুলিশ জানায়, বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘির পাড় এলাকা থেকে ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের এ দাবি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, কারণ তার পোস্ট দেওয়ার সময়, জায়গা এবং পুলিশের ভাষ্য—তিনটি বিষয়েই রয়েছে বড় ধরনের অসংগতি।

ওসির কক্ষে বসেই ফেসবুক পোস্ট

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আকাশ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি সরাসরি কোতোয়ালী থানায় প্রবেশ করেন বিকেল তিনটার দিকে। থানায় আগে থেকেই কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রস্তুত ছিলেন তার আগমনের জন্য। আকাশ থানায় ঢুকেই সরাসরি ওসি আবদুল করিমের কক্ষে প্রবেশ করেন। তবে ওই সময় ওসি তার কক্ষে ছিলেন না। সেখানে বসার জন্য তাকে চেয়ার দেওয়া হয় এবং আদালতে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। এমনকি হালকা আপ্যায়নও করা হয় তাকে।

এই অবস্থাতেই বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে আকাশ তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনারা জানেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের শাহাবাগীদের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়টি আমি একজন মুসলিম হিসেবে আমার ঈমানী চেতনার জায়গা থেকে করেছি। শুনলাম প্রশাসন আমাকে খুঁজছে! আমি চোরও না ডাকাতও না আমাকে প্রশাসন থেকে খুঁজতে হবে! …আমি আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ জনদের সিদ্ধান্ত ক্রমে আজকেই চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায় আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিচ্ছি।’

সমঝোতায় ‘আত্মসমর্পণ’?

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একাধিক সূত্র এবং জামায়াত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী লাঞ্ছনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর পুলিশ প্রশাসনের ওপরও চাপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আকাশ চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে জামায়াতের কয়েকজন নেতা বিষয়টি ভিন্নভাবে সমাধানের জন্য পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। মূলত বিতর্কিত ‘শাহবাগবিরোধী মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবরার হোসাইন রিয়াদ এই বিষয়ে মূল তৎপরতা চালান। তিনি তার অনুসারী আকাশ চৌধুরীকে রক্ষায় শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যান।

আবরার একপর্যায়ে পুলিশের এক শীর্ষ উপদেষ্টা ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তবে হাসনাত আকাশের পক্ষ না নিয়ে তাকে নিরাশ করেন। অবশেষে পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ‘আত্মসমর্পণ’ নাটক মঞ্চস্থ হয় কোতোয়ালী থানায়।

যদিও ওইদিন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গত ২৮ মে বাম ছাত্রজোটের এক নারী কর্মীকে লাথি দিয়ে ঘটনাস্থলে নাজুক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ঘটনায় আকাশ চৌধুরী জড়িত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কোতোয়ালী থানার এসআই মো. ইমাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিভিন্ন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে শনাক্ত করেন এবং লালদীঘি মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

রক্তাক্ত ছাত্রসমাবেশ

যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ায়’ বেকসুর খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে ২৮ মে চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। সেই সমাবেশে ঘটে এক ভয়াবহ হামলা। ‘শাহবাগবিরোধী মঞ্চ’ নামধারী হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি গোষ্ঠীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মব’ গড়ে তোলার আহ্বানের মধ্যেই বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা পুলিশের উপস্থিতিতেই সমাবেশস্থলে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। নারী কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয় অশ্রাব্য ভাষা, দেওয়া হয় অকথ্য গালিগালাজ এবং শারীরিক লাঞ্ছনা। নেতা-কর্মীদের মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন, যাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিঁড়িতে দাঁড়ানো গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যানি চৌধুরীসহ কয়েকজনকে সজোরে লাথি মারেন মাথায় ক্যাপ পরিহিত আকাশ চৌধুরী।

২৮ মে ঘটনাস্থল থেকে ওবায়দুর রহমান ও সেলিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দুজনেই জামিনে বেরিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আটক দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে। এতে বলা হয়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস ও রাস্তায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

আকাশকে বহিষ্কার, দায় নেয়নি জামায়াত

গত শুক্রবার (৩০ মে) জামায়াত নেতা আকাশ চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী। ঘটনার দায় অস্বীকার করে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সংঘটিত ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই এই ঘটনার কোন দায়-দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী বহন করবে না। সেদিনের অনভিপ্রেত ঘটনার দায় কেবলমাত্র সেখানে উপস্থিত দায়ী ব্যক্তিদের ওপরই বর্তায়। বিশেষ করে আকাশ চৌধুরী নামে সংগঠনের একজন কর্মী উর্ধ্বতন সংগঠনের অনুমতি ব্যতিরেকে উপস্থিত হয়ে উক্ত কর্মসূচিতে যে কাজ করেছে তা চরম নিন্দনীয়। সুতরাং কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ও উপর্যুক্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জড়িত আকাশ চৌধুরীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

দায় নেয়নি ছাত্রশিবির

হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তর শাখার সাবেক প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবরার হোসাইন রিয়াদ, তৌকির, আসফারসহ আর আরও কয়েকজনের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবারের সংঘর্ষের সময় শিবিরের কেউ ছিলেন না বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক। এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, শিবিরের কোনো কর্মী এ ধরনের কাজে জড়িত নন।

ওই বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, ‘যে ব্যক্তি হামলার সঙ্গে জড়িত, তিনি ইতিপূর্বে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত নন। তার ব্যক্তিগত আচরণের দায়ভার ছাত্রশিবির নেবে না।’

আকাশের নামে হামলা-অপহরণের অভিযোগ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আকাশের নেতৃত্বে এর আগেও নগরীর মুরাদপুরে সুন্নিদের জমায়েতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে প্রকাশ্যে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে এক তরুণকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন আকাশ চৌধুরী। এ সময় আশেপাশের মানুষ এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আকাশ নিজেকে ‘বহদ্দারহাট জামায়াতের সেক্রেটারি’ বলে পরিচয় দেয়। তবে অপহৃত ওই তরুণের ভাগ্যে এরপর কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি।

সাতকানিয়ার সিবগাতুল্লাই শহরে ‘আকাশ’

আকাশ চৌধুরীর প্রকৃত নাম সিবগাতুল্লাহ চৌধুরী আকাশ। দেড় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। তার বাবা সাতকানিয়া পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা। আকাশের মা খালেদা সাতকানিয়া পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, আকাশের মায়ের চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তহবিল থেকে অর্থসহায়তা নিয়ে দেন তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

আকাশের বাবা জামায়াত নেতা নেচার উদ্দিন আওয়ামী লীগ আমলে নিজেকে বিপ্লব বড়ুয়ার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতেন। সাতকানিয়া আওয়ামী লীগে বিপ্লব বড়ুয়ার অনুসারী একাধিক নেতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন, গণভবন কমপ্লেক্সে বিপ্লব বড়ুয়ার বাসায় জামায়াত নেতা নেছার চৌধুরীর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। নেতাদের কেউ কেউ এ নিয়ে মৃদু আপত্তি জানালে বিপ্লব বড়ুয়া তাদের বলেন, ‘সে আমার বন্ধু এবং এ বিষয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না।’ আওয়ামী লীগ আমলে নেছার চৌধুরী ও তার ছেলে আকাশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও বিপ্লব বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশও তাদের কখনও ঘাটায়নি।

কয়েক মাস আগেও চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর বহদ্দারহাট সাংগঠনিক ওয়ার্ড জামায়াতের অনুষ্ঠানে সিবগাতুল্লাহ আকাশকে দেখা গেছে। তিনি ওই ওয়ার্ডের সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেন— এমন জানা গেছে কয়েকটি সূত্রে। আকাশ তারও আগে চট্টগ্রাম নগরীর একটি ওয়ার্ডে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন।

পুরনো দাগী

সিবগাতুল্লাহ ওরফে আকাশ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরতি এলাকার যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে বগা হত্যামামলার ২০ নম্বর আসামি তিনি। চট্টগ্রামের তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। আকাশের বিরুদ্ধে এছাড়া নারী হয়রানিসহ বিস্ফোরক মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালে শিবিরের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশে তিনি দ্রুতই ছাড়া পান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন কর্মীকে মারধরের অভিযোগে আকাশের সাতকানিয়ার বাড়িতে সেনাসদস্যরা গেছেন বেশ কয়েক দফায়।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সাতকানিয়া উপজেলায় টেন্ডার বাণিজ্য করতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন আকাশ।পরে এর প্রতিবাদে নিজের সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভও করেন তিনি।

অভিযোগ মিলেছে, আকাশের প্রভাব খাটিয়ে তার বাবা সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন মাটির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফায় সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সতর্কও করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm