চাকসু’র অনার বোর্ডে ফিরলো মান্নার নাম, এক দশক পর মুছলো কালো কালি

১০ বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) অনার বোর্ডে পুনরায় স্থান পেলো সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম।

২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী মান্নার নাম অনার বোর্ড থেকে কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলে। একই সময়ে তার ছবি সংগ্রহশালা থেকে সরানো হয় এবং তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সেই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মান্নার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা ও লাশ ফেলার পরিকল্পনার অভিযোগ ওঠে।

নাম মুছে ফেলার পেছনে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ. খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্ব ও ৩০–৪০ জন নেতাকর্মীর সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল। অভিযোগ ছিল,যে ছাত্রদের লাশ চেয়েছে, তার কোনো অধিকার নেই।

দীর্ঘ এক দশক এই বিতর্কের প্রেক্ষাপট বজায় থাকলেও ২০২৪ সালের চাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর অনার বোর্ডে মান্নার নাম পুনঃস্থাপন করে।

চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পারার পরপরই নামটি পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে আমরা বিষয়টি জানতাম না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১০ বছর ধরে নামটি কালো কালি দিয়ে ঢাকা ছিল। অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ।

মান্না ১৯৭২ সালে জাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে চাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে জাসদ ছাত্রলীগ এবং ১৯৮০ সালে বাসদ ছাত্রলীগ থেকে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন।

এএইচ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm