নিলামে গ্রহণযোগ্য দর না পাওয়ায় সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩০টি গাড়ি সরকারের পরিবহণ পুলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্যরা গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন এবং ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে এনবিআর। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় পালিয়ে যাওয়া অনেক সাবেক এমপি গাড়িগুলো আর ছাড় করেননি।
মোট ৪২টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি প্রথম দফায় নিলামে তোলা হলেও বাজারদরের তুলনায় দর কম হওয়ায় বিক্রি হয়নি। ভিত্তিমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিকভাবে কম দাম ওঠায় কাস্টমস গাড়িগুলো ছাড় দেয়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, নিলামে খুব কম দাম ওঠায় সরকারকেই শেষ পর্যন্ত এসব গাড়ি নিতে হচ্ছে। এগুলো সরকারি পরিবহন পুলে যুক্ত হবে এবং জনপ্রশাসনে ব্যবহৃত হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গাড়িগুলোর প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। নিলামের মাধ্যমে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা করেছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতেও এ সুবিধা বহাল থাকে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এমপিরা ৫৭৬টি গাড়ি আমদানি করেন।
জেজে/ডিজে