পটিয়ায় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, নারীসহ গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ ভূর্ষি এলাকায় উজ্জ্বল দে নামের এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (১ জুন) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উজ্জ্বল দে’র প্রতিবেশী।

গ্রেপ্তার দু’জন হলেন—বাসু দেব মহাজন (৫৫) ও তার স্ত্রী মনি মহাজন সঞ্চিতার (৪৫)। তবে মামলার প্রধান আসামি সান্তু মহাজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বাসু দেব মহাজনের ছেলে।

এর আগে এদিন নিহতের স্ত্রী লক্ষ্মী দে বাদি হয়ে পটিয়া থানায় মামলা করেন। এতে তিনজনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ২-৩ জনকে।

নিহত উজ্জ্বল দে উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণ মহাজনের বাড়ির মৃত গোপাল দে’র ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাসু দেব মহাজনের বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ের টয়লেটের পাশে ঝোপের মধ্যে তালগাছের নিচ থেকে উজ্জল দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের গায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ধারণা করে, তাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার প্রতিবেশী বাসু দেব মহাজন ও তার স্ত্রী লক্ষি দে সঞ্চিতে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত উজ্জ্বল দে’র সঙ্গে প্রতিবেশী বাসু দেব মহাজনের স্ত্রী সঞ্চিতার পরকীয়া প্রেম ছিল। তাদের আর্থিক লেনদেনও ছিল। এর জেরে সান্তুু মহাজন উজ্জ্বলের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি সান্তুু মহাজন পলাতক রয়েছেন।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান বলেন, উজ্জ্বল দে নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নিহতের প্রতিবেশী বাসু দেব দে মহাজন ও তার স্ত্রী মনি মহাজন সঞ্চিতাকে শনিবার জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রীকে এ হত্যা মামলায় আসািমি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার প্রধান আসামি তাদের ছেলে সান্তুু মহাজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm