চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) জন্য প্রস্তুত করা ৯ হাজার ১০০টি ইউনিফর্ম উদ্ধারের ঘটনায় ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক সৈয়দা সালেহা পারভীনকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইব্রাহিম খলিল পুলিশের করা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন।
সালেহা পারভীন (৪৯) নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ইকুইটি শবনম ভবনে বসবাস করেন। তার স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর পৌর এলাকার জনতা সিনেমা হল সংলগ্ন। তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় করা ৪২ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৩০ মে বিকেলে পাঁচলাইশের বাসা থেকে পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ১৮ মে মামলার অন্য আসামি সাহেদুল ইসলাম (২৫), গোলাম আজম (৪১) ও নিয়াজ হায়দারকে (৩৯) আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেদিন সকালেই বায়েজিদ থানার মোজাফফর নগর এলাকার আলেয়া ম্যানর ভবনের এ/১ ফ্ল্যাট থেকে ১১,২০০টি ক্যামোফ্লাজ পোশাক জব্দ করা হয়।
পরে নয়ারহাট এলাকায় ‘তৃষা কমিউনিটি সেন্টার’-এ থাকা রিংভো অ্যাপারেলস কারখানায় অভিযান চালিয়ে আরও ৯,১০০টি কুকি-চিন ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সালেহা পারভীন ও সাহেদুল ইসলাম রিংভো অ্যাপারেলসের মালিক। অন্য দুই আসামি গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার তাদের আত্মীয়। মামলার পলাতক আসামি মং হ্লা সিং সারমা ও কুকি-চিন সদস্যরা অবৈধভাবে কারখানাটিতে ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহ করে এবং দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পোশাক তৈরির কাজ দেয়।
তদন্তে সালেহা পারভীনের বিরুদ্ধে কুকি-চিনের সহযোগিতায় ইউনিফর্ম তৈরির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার মালিকানাধীন গার্মেন্টস লাইসেন্সের কপি পর্যালোচনাতেও বিষয়টি উঠে আসে।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, মূল হোতাদের শনাক্ত, অর্থের উৎস ও কাপড় সরবরাহকারীদের খুঁজে পেতে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে রিমান্ড আবশ্যক ছিল। আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জেজে/ডিজে