সীতাকুণ্ডে মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়ার পর জায়গা দখলে নিলো দুষ্কৃতকারীরা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মধ্যরাতে একটি কালী মন্দির ও প্রতিমা ভেঙে জ্বালিয়ে-গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতকারীরা। পরে সেই জায়গা সীমানাপ্রাচীর দিয়ে দখল করে নিয়েছে তারা।
শনিবার (৩১ মে) গভীর রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল ২ নম্বর সমাজের সর্বজনীন শ্রীশ্রী মহাশ্মশান কালী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কমিটি।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তির ২ নম্বর সমাজের অন্তর্গত সর্বজনীন শ্রীশ্রী মহাশ্মশান কালী কালী বাড়িতে শনিবার মধ্যরাতে শতাধিক দুর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা সেমিপাকা মন্দির ঘরটির টিন, ঘেরাবেড়া গুড়িয়ে দেয়। একইসঙ্গে তারা ভেঙে চুরমার করে মন্দিরে থাকা কালীসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও ছবি।
হামলাকারীরা মন্দিরের সীমানার মধ্যেই একটি সীমানা দেয়াল নির্মাণ করে ফেলে রাতারাতি। আশপাশের মানুষ এ ঘটনা টের পেয়ে ভোররাতে সীতাকুণ্ড থানাকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে রোববার দুপুরে ওই কালী মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ছিন্নমূল দুর্গা পূজা পরিচালনা কমিটির নেতা রুবেল ও মহাশ্মশান কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অমর মজুমদার জানান, শনিবার দুর্যোগপূর্ণ আবাহাওয়ার মধ্যে গভীর রাতে শতাধিক দুস্কৃতকারী হামলা চালিয়ে মন্দিরটি একেবারে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। কালী প্রতিমাসহ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব দেব-দেবতার প্রতিমা ও ছবি। ভোররাতে সীতাকুণ্ড থানার ওসিকে ফোন করে ঘটনা অবগত করলে পুলিশ ছুটে আসে।
এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি অমর মজুমদার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মন্দিরটি সরকারি খাস জমিতে গড়ে তোলা। আমার ধারণা পার্শ্ববর্তী কোনো জায়গার মালিকের সঙ্গে তাদের জমি বিরোধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মন্দির কমিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে আমরা তদন্ত করছি। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিজে