চট্টগ্রাম কাস্টমসে আবারও ধরা পড়ল চমকপ্রদ জালিয়াতি। খড়ের কাগজ আর রিবন কাগজের নামে আসছিল আসলে সিগারেট তৈরির কাঁচামাল ‘সিগারেট পেপার’। অচেনা ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এভাবে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির কৌশল ফাঁস হয়ে গেল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের আমদানি চালান জব্দ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, আরএম এন্টারপ্রাইজ ও স্মার্ট মুভ নামের কোম্পানির আনা এসব চালানে সিগারেট তৈরির কাগজ ছিল। এরপরও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ আমদানি চালানগুলো ছাড়িয়ে নিতে তৎপর রয়েছে।
চালানগুলো ধরা না পড়লে আরএম এন্টারপ্রাইজের ১৬ টন কাগজ থেকে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সরকার হারাতো প্রায় ৮৬ কোটি টাকা, অন্যদিকে স্মার্ট মুভের চালান থেকে সরকার হারাতো প্রায় ৫১ কোটি টাকা।
গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি হংকং থেকে ১৬ টন খড়ের কাগজ আমদানির ঘোষণা দেয় ঢাকাভিত্তিক আরএম এন্টারপ্রাইজ। মাসের শেষ দিকে ‘স্মার্ট মুভ’ নামে আরেক প্রতিষ্ঠান ‘পেপার রিবন’ ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১০ টন চালান আনে। পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই ‘সিগারেট পেপার’ ধরা পড়ে। এরকম এক কেজি সিগারেট পেপার দিয়ে প্রায় ১০ হাজার সিগারেট তৈরি করা যায়।
কাস্টমস ও এনবিআর রেকর্ডে দেখা গেছে, আরএম এন্টারপ্রাইজ এর আগেও ৪৮৯ টন কাঁচামালের আটটি চালান এনেছে। যার মূল্য ছিল ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। সেগুলোতেও সিগারেট কাগজসহ সিগারেট তৈরির কাঁচামাল থাকতে পারে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা।