চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়েছেন হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে। দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে পটিয়া পৌরসদরে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
হামলার পর আহত শ্যামল দে স্কুলে পৌঁছে তার ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন এবং বিচার দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে সিএনজি অটোরিকশায় করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মুখোশপরা ৬-৭ জন সন্ত্রাসী অটোরিকশার পথরোধ করে। এরপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তার সঙ্গে থাকা দুই শিক্ষক তানিয়া ইয়াসমিন ও প্রান্ত বড়ুয়া এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হয়।
শ্যামল দে জানান, সকালে তিনি বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন। পথে দুর্বৃত্তরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় তিনি স্কুলে পৌঁছে ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার বিবরণ দেন এবং এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। শ্যামল দে’র অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজে