প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক আমির শাহজাহান চৌধুরীর কয়েকটি ছবি ও বৈঠকের তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রামের তিন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রাম।
সম্প্রতি সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক আজকের পত্রিকার ডেপুটি ব্যুরো চিফ ওমর ফারুক এবং ঢাকা পোস্টের ব্যুরো ইনচার্জ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালানো হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) এক জরুরি সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি এসএম রানা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র জামায়াত ইসলামীর নাম ভাঙিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তাদের মানহানি ও চরিত্রহননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অসত্য, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তা কেবল ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, মুক্ত গণমাধ্যমের অস্তিত্বের ওপরও সরাসরি হুমকি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি—এই অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ না হলে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় না আনা হলে সাংবাদিক সমাজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। তখন এর দায়-দায়িত্ব কেউ এড়াতে পারবে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, ‘সংবাদ প্রকাশের জবাব সংবাদ মাধ্যমেই দিতে হয়। কিন্তু মিথ্যা তথ্য, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নীরব করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় পেশাদার সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’
সভায় ফোরামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব অপপ্রচারের নেপথ্যে যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সারাদেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।