চান্দগাঁওয়ে কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম, মামলার পরও সন্ত্রাসীদের দাপট

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে হামলার শিকার হয়েছেন কৃষক দলের এক স্থানীয় নেতা। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেছেন একাধিক মামলার আসামি অভিক দেবনাথ চন্দন ও তার সহযোগীরা।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন সাধুর পাড়া ননী মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুজন ধর (৪২) চান্দগাঁও থানা কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক এবং হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে সাধুর পাড়ার বাবলুর দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা অভিক দেবনাথ চন্দন ও তার সহযোগীরা সুজন ধরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা ধারালো কিরিচ, দামা ও কাঠের লাঠি দিয়ে নির্বিচারে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে সুজন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় চন্দন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন ধরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথা ও হাতে গভীর ক্ষত রয়েছে এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় আহতের ছোট ভাই সুমন ধর চান্দগাঁও থানায় অভিক দেবনাথ চন্দনসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মিলন নাথের ছেলে রঞ্জন নাথ (২৬), ফুল মোহন নাথের ছেলে আশিষ কুমার নাথ (৪৪), বিজয় কুমার নাথের ছেলে সুব্রত দেব নাথ (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মনসা পূজার সময়কার একটি বিরোধের জেরে অভিক দেবনাথ চন্দন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সুজন ধরকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, মামলা দায়েরের পরও অভিক নাথ চন্দন ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছেন এবং বাদী পক্ষসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। তারা জানান, এর আগেও অভিক নাথ চন্দন ছিনতাই, মোবাইল চুরি ও বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে চান্দগাঁও থানার মামলা নম্বর ৪৬/৩৭০ (২৬/১০/২০২০), মামলা নম্বর ২২ (১৭/০৮/২০২৫) এবং হাটহাজারী থানায় মামলা নং ১ (০১/১২/২০২৩) উল্লেখযোগ্য।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm