খাস্তগীর স্কুলের ১৫ কাঠার মাঠ ৪ কোটিতে বিক্রি, নামজারির পাঁয়তারা, তদন্তে দুদক

চট্টগ্রাম নগরীর ১৫০ বছরের পুরনো ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বিক্রির ঘটনা তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি দল প্রথমে স্কুলে এবং পরে ভূমি অফিসে গেছে। এ পর্যন্ত পাঁচবার জায়গাটি নামজারির আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেওয়া হয়।

খাস্তগীর স্কুলের ১৫ কাঠার মাঠ ৪ কোটিতে বিক্রি, নামজারির পাঁয়তারা, তদন্তে দুদক 1

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

২০০৬ সালে শত কোটি টাকা মূল্যের ১৫ কাঠা জায়গা মাত্র ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় বিক্রি দেখানো হয়। মাঠটি নিজেদের আয়ত্বে নিতে নামজারির জন্য এর আগে চাবার আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই নামজারির আবেদন নাকচ করে দেয় ভূমি অফিস। সম্প্রতি আবারো নামজারির আবেদন করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে এই জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

অভিযানের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা সায়েদ আলম বলেন, খাস্তগীর স্কুলের ভোগ দখলে থাকা মাঠটি বিক্রির বিষয়ে জানতে তদন্তে নামা হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করা হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও যাবে আভিযানিক দল।

উনিশ শতকের ব্রাহ্ম আন্দোলনের অন্যতম নেতা অন্নদাচরণ খাস্তগীর ১৮৭৮ সালে চট্টগ্রামের বর্তমান জামালখান সড়কে একটি ‘ভার্নাকুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর অন্নদাচরণের জামাতা, চট্টগ্রামের সামাজিক আন্দোলনের পথিকৃৎ যাত্রামোহন সেন তার স্মৃতি রক্ষায় এবং এটিকে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করার লক্ষে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। বিংশ শতকের শুরুর দিকে ১৯০৭ সালে তিনি এই বিদ্যালয়কে জমি ও ভবন দান করেন। বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় ‘অন্নদাচরণ খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। ওই বছরই এটি সরকারি হয়।

বিদ্যালয়টিকে লেখাপড়া করেছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,
কল্পনা দত্ত, বিখ্যাত লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী, ভারতীয় বিজ্ঞানী শোভনা ধরসহ আরও অনেকে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm