চট্টগ্রামে মশা মারার নামে ১৩ কোটির ধোঁয়া, তবু ডেঙ্গুতে ১৯৫ লাশ
ফগার চলে অফিস সময়ে, মশা কামড়ায় সন্ধ্যায়!
চট্টগ্রাম নগরে মশা মারার পেছনে চার বছরে ৭ কোটি টাকার ওপর খরচ করেছে সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন বিভাগ। প্রতি অর্থবছরেই কেনা হয়েছে যন্ত্রপাতি ও মশা মারার ওষুধ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায়। কিন্তু তাতেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে তেমন সফলতা মেলেনি। ডেঙ্গুর বাহক প্রাণঘাতী এডিস মশার কামড়ে চার বছরে নগরে মারা গেছেন ১৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১১৯ জন। অথচ মশা মারতে চার অর্থবছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাস থেকেই লাগাতার বৃষ্টির কারণে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। মূলত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু ‘পিক সিজন’ থাকলেও আগাম বৃষ্টি কারণে সে সময়কাল হয়তো আরও এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন সেই ‘পিক সিজন’র অপেক্ষায় আছে।
তবে প্রতি বছর মশা মারার যন্ত্রপাতি ও ওষুধ কেনা হলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে না আসার আরেকটি কারণ অনভিজ্ঞ লোকজন দিয়ে স্প্রে করা। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। ফলে প্রাণঘাতী এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু যেমন ঘটছে তেমনি অনেকে প্রাণে বাঁচলেও ভুগছেন ডেঙ্গু-পরবর্তী জটিলতায়।
চার বছরে বরাদ্দ ১৩ কোটি
চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন বিভাগ ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৩ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা। এতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৬ টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা, ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৮ লাখ ২৫ হাজার ৫২৫ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডালটি সাইড ওষুধে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা, আর ফগার মেশিন কিনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০ টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ হয়েছে ৪ কোটি টাকা। এ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এ টাকায় ১২০টি স্প্রে মেশিন, ফগার মেশিন ১০০টি এবং কীটনাশক লার্ভিসাইড কেনা হয়েছে। আরও কেনা হয়েছে অ্যাডালটিসাইড, লার্ভিসাইড, কালো তেল, ফগার, পাওয়ার, স্প্রে ও হ্যান্ডমেশিন।
এছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, আপ্যায়ন খরচ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম মাহি বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ ওষুধ ও মালামাল কিনেছি, মশা নিধনে কোনো সমস্যা হবে না। আশা করছি, এবার আমরা শতভাগ সফল হবো।’
তবে মাহি মশা নিধনে আশাবাদী হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ২০২৪ সালের মে মাসে নগরে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ৮ জন ও উপজেলায় ছিল ৯ জন। সেখানে চলতি বছরের ২৮ মে পর্যন্ত সে সংখ্যা নগরে ৫০ জন ও উপজেলায় ৫৩ জন। তবে কেউ মারা যায়নি।
৪ বছরে ১৯৫ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম নগরে মারা গেছেন ১৯৫ জন। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে মহানগরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন, উপজেলায় ১ হাজার ৯৪৫ জন। মারা গেছেন ৪১ জন।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৫৫ জন, উপজেলায় ৪ হাজার ৩৩২ জন। মারা গেছে ১০৭ জন। তবে বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত নগরে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও জুনের পর থেকে তা শতকের ঘর পেরিয়ে যায়।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নগরে আক্রান্ত হন ৫৬ জন, উপজেলায় ২১ জন এবং মারা যান ৩ জন; ফেব্রুয়ারিতে নগরে আক্রান্ত ১১ জন, উপজেলায় ১১ জন; মার্চে নগরে ৭ জন, উপজেলায় ৫ জন; এপ্রিলে নগরে ১৩ জন, উপজেলায় ৫ জন; মে-তে নগরে ৩২ জন, উপজেলায় ২১ জন আক্রান্ত হন।
জুনে নগরে আক্রান্ত হন ২০২ জন, উপজেলায় ৮১ জন এবং মারা যান ৬ জন; জুলাইয়ে আক্রান্ত হন নগরে ১ হাজার ৬৮৮ জন, উপজেলায় ৬২৩ জন এবং মারা যান ১৬ জন।
আগস্টে নগরে ১ হাজার ৯৯৭ জন, উপেজেলায় আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৪ জন, মারা যান ২৮ জন। সেপ্টেম্বরে নগরে ২ হাজার ৭৭৬৯ জন ও উপজেলায় ১ হাজার ১২৩ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ২১ জন। অক্টোবরে নগরে ১ হাজার ৯৩০ জন ও উপজেলায় আক্রান্ত হন ৮৪৯ জন, মারা যান ১২ জন। নভেম্বরে নগরে ৮৩৪ জন ও উপজেলায় ৪২০ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ১৬ জন। ডিসেম্বরে নগরে আক্রান্ত হন ২১৬ জন, উপজেলায় ১৫৯ জন, মারা যান ৫ জন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগরে আক্রান্ত হন ২ হাজার ৭৪৩ জন, উপজেলায় ১ হাজার ৫৮০ জন, মারা যান ৪৫ জন। মূলত জুলাই থেকে বেড়ে যায় আক্রান্তের সংখ্যা।
জানুয়ারিতে নগরে ৩৬ জন ও উপজেলায় ৩০ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ২ জন। ফেব্রুয়ারিতে নগরে ১৪ জন ও উপজেলায় ১১ জন আক্রান্ত হন, তবে তখন কেউ মারা যায়নি। মার্চে নগরে ১৫ জন ও উপজেলায় আক্রান্ত হন ১৩ জন, মারা যান ১ জন। এপ্রিলে নগরে ১০ জন ও উপজেলায় ৮ জন আক্রান্ত হন, তবে এর মধ্যে কেউ মারা যায়নি। মে-তে নগরে ৮ জন ও উপজেলায় ৯ জন আক্রান্ত হন। মে মাসেও কেউ মারা যায়নি। জুনে নগরে ২৪ জন ও উপজেলায় ১৭ জন আক্রান্ত হন, এদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
জুলাইয়ে নগরে ৮৭ জন ও উপজেলায় আক্রান্ত হন ১১১ জন, মারা যান ১ জন। আগস্টে নগরে ১২২ জন ও উপজেলায় ৮০ জন আক্রান্ত হন, এদের মধ্যে মারা যান ১ জন। সেপ্টেম্বরে নগরে ৫৮৫ জন ও উপজেলায় ৩২২ জন আক্রান্ত হন, এদের মধ্যে মারা যান ১১ জন। অক্টোবরে নগরে ৯৭১ জন ও উপজেলায় ৪৫৯ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ৯ জন। নভেম্বরে নগরে ৬৯১ জন ও উপজেলায় আক্রান্ত হন ৩৩৭ জন, মারা যান ১৬ জন। ডিসেম্বরে নগরে ১৮০ জন ও উপজেলায় ১৮০ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ৪ জন।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নগরে ১২১ জন ও উপজেলায় ১৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন।
অনভিজ্ঞ কর্মচারী দিয়ে ওষুধ স্প্রে
মশা নিধনে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওষুধ প্রয়োগের বিষয়ে নেই যথোপযোগী ধারণা। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতাও নেই তাদের। অনেকটা নিজের ইচ্ছেমতোই তারা ওষুধ ছিটিয়ে চলে আসেন। কোনটি এডিস মশার লার্ভা, তাও তারা সহজে শনাক্ত করতে পারেন না।
সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন স্প্রেম্যানের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, তাদের ওষুধ প্রয়োগ করার ব্যাপারে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। মাহি সাহেব স্পটে এসে দুই-একবার দেখিয়ে দেন। সেই দেখানো অনুপাতের ভিত্তিতে তারা মশার ওষুধ প্রয়োগ করেন ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে ধোঁয়া দেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আসলে মশার ওষুধ স্প্রে করতে হয় সূর্য অস্ত যাওয়ার ২-১ ঘণ্টা আগে। মশা মারার জন্য যে সময়ে ফগিং দেওয়া হয়, সে সময়ে মশা তার নিজ জায়গায় থাকে না। বিভিন্ন দিকে উড়তে থাকে। ঠিক সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে মশা কামড়ায়। এজন্য ফগিংটা হওয়া উচিত সেই সময়ে।’
তিনি বলেন, ‘বিকাল ৪টা থেকে ওষুধ প্রয়োগ শুরু করার নিয়ম। আর স্প্রেম্যান ওষুধ ও ধোঁয়া দেওয়ার সময় কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ হেঁটে যাবে, সেটিও জানে না। একাজে যারা নিযুক্ত তাদের অনেকে মুখে মাস্ক দেয় না, নির্দিষ্ট পোশাক পরে না। আর সবচেয়ে বেশি ত্রুটি যেখানে তা হলো, সপ্তাহে একবার যেখানে ফগিং করা হয়, পরের সপ্তাহে সেখানেই ফগিং করতে হবে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কর্মসূচি সেভাবে হয় না। আর এটি একটি রুটিনওয়ার্ক। সারাবছরই এটি করে যেতে হয়।’
এনতেজার ফেরদৌস বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শুধু ওষুধ ছিটানো নয়, ধ্বংস করতে হবে মশার আবাসস্থল। শুধু এডিস মশার প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা কাজে আসবে না।’
‘পিক সিজনে’র অপেক্ষায় সিটি কর্পোরেশন
চট্টগ্রাম নগরে নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। বৃষ্টিতে বাসা বাড়ির ছাদে, গাছের টবে, টিনের কৌটা, নালায় পানি জমে রয়েছে। এর মধ্যে যদি আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হয় তাহলে বিভিন্ন অফিসপাড়ার আনাচে-কানাচে পানি জমে থাকবে। আসন্ন ঈদে অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে গেলে সেসব জমে থাকা পানি এডিস মশার লার্ভা ছাড়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এখানেই বংশ বিস্তার বড় সুযোগ এডিস মশার। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন বিভাগ বসে আছে সেই ‘পিক সিজন’র জন্য।
মশক নিধন বিভাগের ভাষ্য, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এডিস মশা প্রজননের সময়। যেহেতু পিক সিজন সেপ্টেম্বরে তাই তখনই মশা নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে সারা বছরই মশা নিধনে কাজ করে থাকে বলে জানিয়েছেন মশক নিধন কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম মাহি। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ৫ থেকে ৭ জন স্প্রেম্যান রয়েছে। একটি ওয়ার্ডকে ৪টি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সকাল ৭টার পর ও বিকেলে দুইবার করে তারা স্প্রে করে থাকে। এছাড়া পুরো শহরকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ৬টি জোনে ৬ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। সুপারভাইজার, সুপারিনটেন্ডেন্ট রয়েছেন। তারাই তদারকি করছে, ঠিকমত ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে কিনা।’
মাহি বলেন, ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে এসব কাজ ছাড়াও আলাদা কিছু কমপোনেন্ট যোগ করা হয়। ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে রুটিনওয়ার্কের বাইরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন বিভাগ শতভাগ কার্যকর। এ বিভাগ থেকে মশা নিধনে কোনো গাফেলতির সুযোগ নেই। তবে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের হার মে মাসেই ঊর্ধ্বমুখি। তাই ঈদের পর পরই জুন-জুলাইয়ের শুরুতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে।’
নগরীর আগ্রাবাদ হাজিপাড়ার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মশার কামড় থেকে বাঁচতে দিনেরবেলাও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। সিটি কর্পোরেশন থেকে ওষুধ দিয়ে গেলে মশা তো মরার কথা। কিন্তু মশার ওষুধ দেওয়ার পরও কোথা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা এসে কামড়াতে শুরু করে।’
ডেঙ্গু-পরবর্তী জটিলতায় কাহিল রোগী
ডেঙ্গু-পরবর্তী রোগী বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এসব রোগীদের বেশিরভাগই ভুগছেন কিডনি, লিভার ও ফুসফুস জটিলতায়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ও ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারের প্রায়ই এ ধরনের রোগী আসছেন।
গ্যাস্ট্রোলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. এরশাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত পরবর্তী বেশিরভাগ রোগী উইকনেস নিয়ে আসে। লিভার ফাংশন কাজ করে না, এমন রোগীই বেশি আছে, রক্তে এসজিপিটি বেশি থাকে।
মেয়রের নির্দেশ কাগজে-কলমে
চলতি বছরের ৩ মার্চ পরিচ্ছন্ন বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন দিনে দুইবার করে মশার ওষুধ ছিটাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা থেকে গেছে কাগজে-কলমে।
ওই সময় মেয়র বলেন, ‘প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও নতুন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। ১০০ পিস ফগার মেশিন ও ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক সিটি কর্পোরেশনকে ডেঙ্গু ও মশা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক ফগার মেশিন দান করেছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’
এদিকে গত বছর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস নগরের ৬০ শতাংশের বেশি ডেঙ্গু ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিই ছিল সেই তালিকায়। পরে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল আরও ৯টি ওয়ার্ড। মূলত রোগীর সংখ্যা বিশ্লেষণ করে ওয়ার্ডগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল।
ডিজে