চট্টগ্রামে রেলের গোডাউন মেরামতের ৩৮ লাখ টাকা জলে, বৃষ্টিতে ভিজছে মালামাল ও ফাইল
ঠিকাদারের কাজ বাতিল ও প্রাপ্য স্থগিত চেয়ে চিঠি
জলে গেল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে ৩৮ লাখ টাকা খরচায় মেরামত, সৌন্দর্যবর্ধন কাজ। বছর না যেতেই গোডাউনের ওপর আচ্ছাদিত টিন ছিদ্র হয়ে পানি পড়ছে৷ ভিজে গেছে মূল্যবান দলিল ও মালামাল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার স্থানে জমে রয়েছে পানি। এমন নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাতিল ও প্রাপ্য অর্থ স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নগরীর পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর (সিসিএস) অধীন বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভালোভাবে অফিসের কাজ করতে পারেননি।
বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (ডিইএন) পাহাড়তলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকায় বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের মেরামত ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ পায় ‘রাইজিং ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মামুন।
দপ্তর ও মালামালের গোডাউন মেরামত, নির্মাণকাজ, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে বলা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যেই গোডাউনের ছাদের সিলিং, ওপরে আচ্ছাদিত টিনের ছিদ্র মেরামত না করায় বৃষ্টি পানি ঢুকছে। এতে ভিজে বহু মালামাল এবং ফাইলপত্র ও জরুরি দলিল নষ্ট হয়েছে।
এ কারণে প্রকৌশল দপ্তর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাইজিং ইন্টারন্যাশনালের কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ ও প্রাপ্য স্থগিতের অনুরোধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করেছে অভিযোগ তুলে দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সকাল থেকে বৃষ্টিতে ছাদের ওপর টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি মালামাল রাখার গোডাউন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার স্থানে পড়ছে। এতে নিচের মেঝেতে পানি জমে গেছে। বিভাগীয় পরিদর্শন দপ্তরের (ইন্সপেকশন) মূল্যবান মালামাল, ফাইলপত্রও ভিজে গেছে।
পাহাড়তলী বিভাগীয় সরঞ্জাম দপ্তরের (ইন্সপেকশন) জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক এসএম আল মুহিত এবং সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানির কারণে দপ্তরে কাজকর্ম আধ-ভেজা হয়ে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। বিষয়টি বিভাগীয় প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।’
বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ এম রিসায়াত ইসলাম বলেন, ‘নিম্নমানের নির্মাণকাজের কারণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
জেএস/ডিজে