মালয়েশিয়ায় কাজের কথা বলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন তারা

মালয়েশিয়াতে কাজের কথা বলে পাচার করা হয় বাংলাদেশি ও ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নাগরিকদের। এরপর তাদের আটকে রেখে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এভাবে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মানবপাচারে দীর্ঘদিন ধরে বড় চক্র। এবার সেই চক্রের ১২ জন সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ উপকূল ও মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটকরা হলেন—টেকনাফের বাসিন্দা মো. আব্দুর রশিদ (৩৫), মো. মিজানুর রহমান (২০), জাহেদ (১৮), মো. জুবায়ের (৩৩), নুরুল আবছার (১৮), মো. ইসমাইল (৩২), মো. ইমরান (২৮), নুর মোহাম্মদ (৪০), খুরশিদা বেগম(৩৪) এবং রোহিঙ্গা মো. আবু তৈয়ব (২৫), মো. ইদ্রিস (৩৫), মাহমুদুল্লাহ (৩০)।

বিজিবি জানায়, সংঘবদ্ধ কয়েকটি মানবপাচারকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পর্যন্ত মানবপাচারে জড়িত। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব চক্র টেকনাফসহ সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বিদেশ পাঠানোর নামে আটকে রেখে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম করে আসছিল।

আটকদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া ১১ জন ভুক্তভোগীকে তাদের স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানবপাচার রোধে বিজিবির বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে।

বিজিবি সূত্রে আরও জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬২ জন মানবপাচারকারী আটক হয়েছে। তবে চক্রের কয়েকজন মূলহোতা এখনো পলাতক। সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার, মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধচক্র দমনে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

এএইচ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm