চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ানো ৪১ শতাংশ মাশুল (ট্যারিফ) আদায় এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বে-টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে চুক্তি ডিসেম্বরে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ৩৯ বছর পর বাড়ানো এই মাশুলের কারণে ব্যবসায়ীরা বিরোধিতা করে আসছেন। তাদের দাবি, এতে ভোক্তাদের ক্ষতি হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান। এদিন দুপুরে বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালা অংশ নেন তিনি। কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩টি খাতে নতুন মাশুল কার্যকর করা হয়। এতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর পর বাড়ানোর এ মাশুলের বিরোধিতা করে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কর্মশালায় ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানিমুখী শিল্পে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা মাশুল আদায় ছয় মাস স্থগিত রাখার দাবি জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানান, ট্যারিফ থেকে আরও এক মাস রিলিফ দেওয়া হচ্ছে। বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তার পরামর্শেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। দুনিয়ার অনেক বড় অপারেটর শতাধিক বন্দর পরিচালনা করছে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগ মানে বন্দর বিক্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করা। এতে কারও চাকরি যাবে না।
বে-টার্মিনাল নিয়ে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করি। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই অর্থ দিয়েছে। এই সরকারের মেয়াদেই কাগজপত্রের কাজ শেষ হবে, পরবর্তী সরকার কাজ শুরু করবে।
কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ নৌপরিবহন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজে