কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে টমটম চালক নুরুল আবছার হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প -২ ইস্ট এর বাসিন্দা মৃত আলী আহমদের ছেলে শফি আলম (২৮), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদ হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেন (২০) ও নুর আহমেদের ছেলে আবুল হাশিম (৪৫)।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে তাদের কুতুপালং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কুচুবনিয়া এলাকা থেকে গলাকাটা এক রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত টমটম চালকের নাম নুরুল আবছার। তিনি উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি ব্লকের বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নুরুল আবছার গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর ফেরেননি। রাতভর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ড্রাগন বাগানে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান। তার অটোরিকশা ও মোবাইল ফোনও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তির সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
ডিজে