মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা, ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া জব্দ

বঙ্গোপসাগরে একটি কাঠের ট্রলারে তল্লাশি করে ফের ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। এসব সারের ওজন প্রায় ১৭ মেট্রিক টন। মিয়ানমারে পাচারের জন্য এসব সার ট্রলারে মজুদ করা হয়েছিল।

গত ১৪ মে পাহাড়তলীর রাসমণিঘাট (খেজুরতলা) সংলগ্ন সাগর থেকে ট্রলারটি আটক করা হলেও শুক্রবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ট্রলার মালিক আব্দুল করিম ও মাস্টার জসিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

এর আগে গত ৮ মে রাতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ থেকে চার নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৭৪২ বস্তা ইউরিয়াসহ একটি নৌকা জব্দ করে কোস্ট গার্ড। সেইসঙ্গে আটক করা হয় ১১ পাচারকারীকে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাও ছিলেন।

এদিকে নৌ পুলিশের চট্টগ্রামের কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, এফভি আবদুর রহমান-১ নামে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী খেজুরতলা এলাকায় অপেক্ষ করছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে ট্রলার আটকে ৩৪০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ১৭ হাজার কেজি সার পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ট্রলারের কাঠের পাটাতনের নিচে মাছ সংরক্ষণের জন্য বানানো ঘরে সারের বস্তাগুলো রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। সারগুলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে (কাফকো) উৎপাদিত। কৃষকদের কাছে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) সেগুলো কাফকো থেকে কিনেছিল।

জানা গেছে, প্রথমে বিসিআইসি তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারের মাধ্যমে কারখানা থেকে সারগুলো তাদের বাফার গুদামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের নিয়োজিত ডিলারের কাছে সরবরাহ করা হয়। ট্রলারের মালিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিসিআইসির ঠিকাদার বা অন্য কোনো উৎস থেকে সারগুলো সংগ্রহ করে মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করেছিল।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm